শেপ করা নখ (nail polish)। আর তাতে পছন্দসই নেলপলিশ। আপনি যদি সাজতে পছন্দ করেন, তাহলে এ হেন নখ পরিচর্চা আপনার রূপ রুটিনে থাকবেই। কিন্তু নখের উপর অর্ধেক নেলপলিশ অথবা কিছুটা উঠে যাওয়া নেলপলিশ কখনও দেখতে ভাল লাগে না। বিভিন্ন কাজে নেলপালিশ উঠে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কী করলে আপনার নেলপলিশ অনেকক্ষণ নখে থাকবে, সে বিষয়ে সাজেশন দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা। হয়তো আপনাদের কাজে লাগবে।
#টপকোট
নেলপলিশ একবার লাগিয়ে শুকিয়ে নেওয়ার পর আরও একবার লাগান। অর্থাত্ টপকোট দিন। যে কোনও ধরনের নেলপলিশনেই টপকোট দিতে পারবেন। এতে যেমন গ্লসি হবে, তেমনই নেলপলিশ বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে।
#বেস কোট
টপ কোটের মতোই বেস কোট লাগিয়ে নিন। অর্থাত্ নখের উপর খুব হালকা ভাবে নেলপলিশের একটা কোট দিন। দ্বিতীয় কোটে নেলপলিশের আসল রং বোঝা যাবে। এরপর হবে টপ কোট।
#হ্যান্ড ক্রিম
ত্বকের ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন যেমন সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে, তেমনই নেলপলিশ লাগানোর আগে হ্যান্ড ক্রিম লাগিয়ে নিন। দিনে অন্তত দু’বার হ্যান্ড ক্রিম লাগানোর অভ্যেস থাকলে নখ আর্দ্র থাকে। নখ শুষ্ক থাকলে নেলপলিশ লাগালে দ্রুত উঠে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
#নখের কোণায় নজর
নেলপলিশ লাগানোর সময় যত্ন নিতে হবে। অর্থাত্ নখের প্রতিটি কোণায় যাতে নেলপলিশ লাগানো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। অনেক সময় নেলপলিশ পরার গলদ থেকে যায়। ফলে তাড়াতাড়ি উঠে যেতে পারে।
গ্লাভস
যদি প্রতিদিন ঘরের কাজে আপনাকে ব্যস্ত থাকতে হয়, তাহলে নখের যত্নের জন্য গ্লাভস পরে কাজ করুন। এতে সরাসরি জল বা সাবান লাগবে না। নেলপলিশ দীর্ঘস্থায়ী হবে।
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমরা জানবো ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়ার উপকারিতা।
আমাদের সকলের ভিটামিন ই এর দরকার শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণে।এর পাশাপাশি এই ক্যাপসুলের রয়েছে অজানা অনেক গুন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল যে কোনও ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায়।
তাই নখের পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়াটাও জরুরি। অন্যথায় তা হলুদ হয়ে যেতে পারে, ভেঙে যেতে পারে। আর সেই কাজের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল আদর্শ। ক্যাপসুল খুলে তার ভেতরের তেল নখ ও এর চারপাশে ভালোভাবে মাখাতে হবে।
নাইট ক্রিম:
ভিটামিন ই ক্যাপসুল তার ‘ময়েশ্চারাইজিং’ গুণের জন্য বেশ সমাদৃত। তাই ওভারনাইট ক্রিম হিসেবেও তা বেশ কার্যকর।
ই ক্যাপের তেলটি সেরাম হিসেবে কাজ করবে এবং রাতভর ত্বকে আর্দ্রতা যোগাবে।
চুলের যত্নে:
ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুল পড়া রুখতে এবং নতুন চুল গজাতে অত্যন্ত উপকারী। সাধারণত চুলে যে তেল ব্যবহার করেন তাতেই মিশিয়ে নিতে হবে ক্যাপসুলে থাকা তেল।
বলিরেখা দূর করতে:
ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতেও উপকারী ভিটামিন ই ক্যাপসুল।
‘অ্যান্টি-এইজিং’ ক্রিম হিসেবেঃ
প্রচুর ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে এতে যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ত্বকে ভিটামিন ই তেল মালিশ করলে ত্বকের গঠন স্বাস্থ্যকর হয়, উজ্জলতা বাড়বে। ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়ার উপকারিতা
অল্পতেই যাদের ত্বক রোদে পুড়ে যায় তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত জরুরি। এর ‘ময়েশ্চারাইজিং’ গুণ ত্বকের শুষ্কতা দূর করার মাধ্যমে রোদপোড়া থেকে সুরক্ষা দেয়।
স্ট্রেচ মার্কস দূর করেঃ
স্ট্রেচ মার্কস থাকলে সেই দাগ দূর করতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল খুব উপকারী। লেবুর রসের সঙ্গে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিয়ে স্ট্রেচ মার্কসের মধ্যে লাগিয়ে নিন। ভাল উপকার পাবেন।
ঠোঁট ফাটা দূর করতেঃ
ঠোঁট ফাটার সমস্যায় শীতকালে সবাই ভুগে থাকেন। তাই রাতে ঘুমোতে যাবার আগে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল লাগিয়ে নিন।
আসসালামু আলাইকুম, গোলাপকে বলা হয় ফুলের রাণী। এইটিকে আমরা সবাই ফুল হিসেবে ব্যবহার করে থাকি।কিন্তু গোলাপ ফুলের উপকারিতা অনেক, যা অবাক করার মত।
গোলাপ ফুুল আমাদের স্বাস্থ্য হতে শুরু করে, রূপচর্চায়ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।গোলাপ খুবই উপকারি একটি ফুল।তাই আজকে আমরা জানবো, গোলাপ ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে।
গোলাপ ফুলের উপকারিতাঃ
ওজন কমাতেঃ
গোলাপের পাপড়ির মধ্যে এমন উপাদান আছে যা মেটাবোলিজমের উন্নতি ঘটায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। রোজ টি খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেঃ
গরম জলে টাটকা গোলাপের পাপড়ি দিন এবং জলের রঙ ফ্যাকাসে লাল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মিশ্রণের মধ্যে সামান্য মধু ও দারচিনির পাউডার মেশান। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে রোজ এই চা খান।
অবসাদ-ক্লান্তি এবং চাপ-ধকল থেকে ইনসোমনিয়া এবং অস্থিরতা-ছটফটানি হয় যা থেকে উদাসীনতা এবং অস্বস্তি বাড়ে। গোলাপের পাপড়ি এবং তার সুবাস এই সমস্যা দূর করতে পারে।
শরীরে ভালো অনুভূতি জাগায়ঃ
গরম জল বানিয়ে তার মধ্যে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। গরম ভাব ফুলের সুবাস বের করে। শরীর এবং মনকে আরাম দেবার জন্য এই জল দিয়ে স্নান করুন।
অর্শের সমস্যা দূরীকরণঃ
গোলাপের পাপড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং জলীয় উপাদান থাকে। এর মধ্যের উপাদান শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে হজমে সাহায্য করে। এগুলো অর্শের রক্তপাত বন্ধ করে।
অ্যাস্ট্রিনজেন্ট হিসেবে কার্যকারিঃ
গোলাপ জল ত্বকের জ্বালা ফুসকুড়ি নিরাময় করে, ত্বকে তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে ও তাকে নমনীয় বানায়। এটা যথোপযুক্ত অ্যাস্ট্রিনজেন্ট।
ত্বকের যত্নে গোলাপ ফুুল:
গভীর ক্লিনজার ও টোনার হিসেবে কাজ দেয়। এটা আপনাকে স্বাভাবিকভাবে কম বয়সী করে দেয়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেঃ
গোলাপের পাপড়ির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। ত্বকের অস্বস্তি এবং চুলকানির উপশম করে ত্বককে আরাম করে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে রোজ গোলাপ জল দিয়ে মুখ ধোবেন।
ব্রণ নিরাময়েঃ
গোলাপ জল একটা উৎকৃষ্ট ময়েশ্চারাইজার। এর মধ্যে ফিনাইল ইথানল এবং অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান থাকে যা ব্রণ কমায়। গোলাপের পাপড়ির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণকে শুকিয়ে দেয়।
আমরা সবাই জানি, অলিভ অয়েলের ব্যবহার সুপ্রাচীন। বাংলায় যার নাম জলপাই তেল এবং আরবিতে একে জয়তুন বলা হয়। জলপাইয়ের তেল এমন একটি উপাদান, যা ত্বক ও চুল সহ অনেক কিছুতেই ব্যবহার করা হয়।জয়তুন তেলের উপকারিতা।
ইসলামে বলা হয়েছেঃ
“তোমরা যায়তুনের তেল খাও এবং এর দ্বারা মালিশ কর বা শরীরে মাখ। কেননা, তা বরকতময় গাছ থেকে আসে।” (তিরমিযী, আহমদ)
চলুন জেনে নেওয়া যাক, জয়তুন তেলের উপকারিতা:
ত্বকের অ্যান্টিএইজিং হিসেবেঃ
জলপাই তেল ত্বকের যত্নে দারুণ কার্যকরী। জলপাইয়ের তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে ও ত্বকে ময়লা জমতে দেয় না। ত্বক ফেটে গেলে তা সারিয়ে তুলতে জলপাই তেল বেশ কার্যকরী। জলপাই তেল ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা কমায়। এর অ্যান্টিএইজিং উপাদান ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কাজ করে।
এলার্জি অথনা চুলকানি কমাতেঃ
এ ছাড়া যাদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে তারা নির্দ্বিধায় এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের যত্নেঃ
জলপাই তেল ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা কমায় ও ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ দূর করে। ফলে ত্বক হয় কোমল এবং মসৃণ।
কোলেস্টেরল সমস্যা দূর করতেঃ
তেল রক্তের কোলেস্টোরেল দূর করে রক্তে উচ্চারক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই রক্তের কোলেস্টেরল দূর করতে চাইলে জয়তুন তেল খাওয়া আবশ্যক।গবেষকরা ২.৫ কোটি (25 million) লোকজনের উপর গবেষণা করে দেখিয়েছেন, প্রতিদিন ২ চামচ Extra Virgin Olive Oil যাইতুন তেল ১ সপ্তাহ ধরে খেলে, ক্ষতিকর এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরল কমায় এবং উপকারী এইচডিএল (HDL) কোলেস্টেরল বাড়ায়।
ভিটামিন অভাব রোধ করতেঃ
জয়তুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই।ভিটামিন এর অভাব পূরণ করতে চাইলে জয়তুন খাওয়া আবশ্যক।
জয়তুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আশ বা ফাইবার। তাই যদি বাতের ব্যাথা কমাতে চান নিয়মিত জয়তুন খাওয়া আবশ্যক।
বিভিন্ন ধরণের টিউমার,দৃষ্টিভ্রম,রগ ফুলে যাওয়া,কোষ্ঠকাঠিন্য এবং দাতের ক্যাভিটি নিয়ন্ত্রণে জয়তুনের তেল অনেক উপকার করে থাকে।
ক্যান্সার দমনে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে জয়তুন।
রক্তশূন্যতা কমাতে এবং হার্টের সুরক্ষায়ঃ
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে খুব কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে জয়তুন।
জয়তুনে রয়েছে অলেইক এসিড যা আমাদের হার্টের সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
চুলের যত্নে(জয়তুন তেলের উপকারিতা):
শুধু ত্বক নয়, জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী। মাথার শুষ্ক তালু প্রাণ ফিরে পায় জলপাই তেলের গুণে। জলপাইয়ের তেল চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে। এটা শিশুর ত্বকের জন্যও নিরাপদ।
ব্যথানাশক হিসেবেঃ
স্প্যানিশ (Spanish) গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারে যাইতুন তেল ব্যবহার করলে ক্লোন ক্যান্সার (Colon cancer ) প্রতিরোধ হয়। আরও কিছু গবেষক দেখিয়েছ, এটা ব্যাথা নাশক (Pain Killer) হিসাবে কাজ করে।
সান প্রটেক্টর হিসেবেঃ
একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ জলপাই তেল আর ৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক শুষ্ক ত্বককে নরম ও কোমল করে তুলবে। সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে। বাইরে যাওয়ার আগে জলপাই তেল দিয়ে বের হন। সান প্রটেক্টর হিসেবে এটি দারুণ কার্যকরী।
ব্রণ দূর করতেঃ
৪ টেবিল চামচ লবণের সঙ্গে ৩ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট ২ মিনিট ধরে মুখে ম্যাসাজ করুন। এভাবে এক সপ্তাহ করলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
এ ছাড়া ১/২ কাপ জলপাই তেল, ১/৪ কাপ ভিনেগার আর ১/৪ কাপ পানি মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক আপনার ত্বককে নরম করবে এবং ভিনেগার ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করবে।
কন্ডিশনার হিসেবেঃ
ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নে ও সমান কার্যকরী জলপাই তেল। শ্যাম্পু করার পর হাতের তালুতে কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল নিয়ে ভালোভাবে দুই হাতে ঘষে ফেলুন। তারপর চুলে কন্ডিশনারের বদলে লাগিয়ে ফেলুন।
আশা করি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে আপনাদের উপকার হবে।এবং বাস্তব জীবনে জয়তুন তেলের উপকারিতা এর প্রয়োগ ঘটাতে পারবেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা: সুন্দর ত্বক সবারই আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু সুন্দর ত্বক পাবেন কি করে? প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিক উপাদানের কদর সর্বত্রই। কিন্তু কীভাবে করবেন প্রাকৃতিক উপাদানে রূপচর্চা?
জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা:
হলুদ দিয়ে রূপচর্চা:
ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা হলুদের জুরি নেই। হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের ক্ষতিকারক রেডিকেলস অপসারণে সক্ষম। এটি ত্বক পরিষ্কারই রাখে না বরং ত্বক ফর্সা করে তোলে।
https://janajoruri.com
রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার:
২ টেবিল চামচ হলুদ এবং ৪ টেবিল চামচ আটার দানা নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এবার এই মিশ্রণটি পুরো মুখে এবং গলায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
প্যাকটি শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন।
সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসতে বাধ্য।
টিপস: আপনি চাইলে একটু মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
এলোভেরা দিয়ে রূপচর্চা:
ত্বকের প্রায় সব সমস্যার সমাধান করে অ্যালোভেরা। এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে এবং প্রাকৃতিক গ্লো দেয়।
https://janajoruri.com/
রূপচর্চায় এলোভেরার ব্যবহার:
১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা রস, ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু এবং এক চিমটে হলুদ একসঙ্গে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মিশ্রণটি মুখে এবং গলায় লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর হালকা উষ্ণ গরম জলে পরিষ্কার করে নিন।
অনন্তকাল ধরে বেকিং সোডা রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। ত্বকের মৃত কোষের সমস্যা দূর করে ত্বকের পি.এইচ লেভেল বজায় রাখে পাশাপাশি ত্বক মসৃণ করে তোলে।
https://janajoruri.com/
রূপচর্চায় বেকিং সোডার ব্যবহার:
একটি পাত্রে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা, হাফ চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এটি মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে ১০ মিনিট বাদে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করুন।
পেঁপে দিয়ে রূপচর্চা:
ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা ক্ষেত্রে পেঁপে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। পাকা পেঁপে পেপাইন নামক এক প্রকার উপাদান ধারণ করে যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে। এছাড়াও পাকা পেঁপে ত্বকের ময়লা দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
সমপরিমাণ মধু এবং মুলতানি মাটি সঙ্গে পরিমাণ মতো পাকা পেঁপে ( পেস্ট করা ) মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। এবার এই পেঁপের প্যাকটি পুরো মুখে এবং গলায় লাগিয়ে রাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্যাকটি শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা জলে পরিষ্কার করে নিন। ভালো রেজাল্ট পেতে সপ্তাহে অন্তত ১ দিন ব্যবহার করেই দেখুন।
মধু দিয়ে রূপচর্চা:
যখন সৌন্দর্যচর্চার কথা আসে তখন মধুর কথা আমরা ভুলে যেতে পারি না। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা চামড়া নরম এবং সুস্থ করে তোলে। সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার:
প্রথমে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এবার ১ টেবিল চামচ মধু নিয়ে মুখে লাগিয়ে হালকা ভাবে মাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন।
কমলা দিয়ে রূপচর্চা:
ত্বক রিফ্রেশ করতে এবং প্রাকৃতিক গ্লো পেতে কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা ত্বককে রিফ্রেশ করে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক গ্লো ভাব আনতে সহায়তা করে।
https://janajoruri.com/
রূপচর্চায় কমলার ব্যবহার:
কমলা খোসা ভালো করে পেস্ট করে তাতে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পুজো। এইসময় নিজের ত্বককে আরও বেশি উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে চাইবেন নিশ্চয়ই। তবে এরজন্য আপনাকে পার্লারে যেতে হবে না। বাড়িতেই বসেই ঘরোয়া উপায়ে কয়েকদিনের মধ্যেই উজ্জ্বল ত্বক পাবেন।
টমেটো ত্বকে প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। তাই শুধু মুখে নয়, গলায়, ঘাড়ে। হাতে, পায়ে নিয়মিত ব্যবহার করুন টমেটোর রস। এর জন্য রোজ গোটা একটা টমেটো পেস্ট করে মাখুন। তবে যাদের অয়েলি ত্বক তারা সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই তফাত্টা বুঝতে পারবেন।
লেবুর রস-
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক এসিড শুধু ত্বককে উজ্জ্বল করে না, এটি ত্বককে স্থায়ীভাবে উজ্জ্বল করে তোলে। রাতের বেলা ঘুমানোর আগে একটা লেবুর রস মুখে ম্যাসাজ করুন। এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনদিন এটা ট্রাই করুন। অয়েলি ত্বক যাদের তারা এটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন। তবে দিনের বেলা ব্যবহার করবেন না।
কাঁচা হলুদ ও দুধ–
এক গ্লাস দুধের সাথে এক টুকরো কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে খেয়ে নিন। রোজ নিয়ম করে খাবেন। এটি নিয়মিত পান করলে আপনার ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
সুন্দর ফর্সা দাগমুক্ত ত্বক ধরে রাখতে কে না চায় কিন্তু প্রতিদিনের যানবাহন যাতায়াত ধুলোবালি ত্বকের ওপরে প্রভাব ফেলে। আর বেশির ভাগ সময়ই বিভিন্ন প্রসাধনীর আশ্রয় নিতে হয় পার্লারে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করে আসেন মানুষজন। কিন্তু পার্লারে যেসব কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় সেগুলি পরবর্তীতে খারাপ প্রভাব ফেলে তাই এই পুজোর আগে চটপটে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলি অ্যাপ্লায় করে নিন। বেশি কিছু না ঘরে রাখা আলু দিয়ে করুন বাজিমাত।
1. ত্বকের দাগ মুক্ত করতে চাইলে হাফ আলু ব্লেন্ড করে রস করে নিন। এবার এতে গোলাপজল ও লেবু মেশান। এরপর এই প্যাকটি গলায় ও মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন এটি ট্রাই করে দেখুন ফলাফল চোখের সামনে পাবেন। লেবু ও আলু উভয় ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। অয়েলি ত্বকের জন্য এটি দারুন কাজ করে আর ড্রাই স্কিন হলে প্যাকটি ব্যবহার করার পর ময়েশ্চারাইজার লাগান।
2. পরিষ্কার ত্বক পেতে- আলু ব্লেন্ড করে রস করে নিন তারপর ওর সাথে মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মেশান। তারপর মুখে ও গলায় লাগিয়ে 15 মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে মাত্র একদিন এই প্যাক টি ব্যবহার করে দেখুন গ্লোইং স্কিনের সাথে ত্বক হবে পরিষ্কার, অয়েল ফ্রি, দাগমুক্ত।
3. স্কিনকে টাইট রাখতে ডিমের সাদা অংশ ও আলু পেস্ট করে মেশান। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে কুড়ি মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। যেকোনো স্কিন টাইপ এটি ভালো ফলাফল দেবে।
4. ত্বক ব্রাইট করতে হাক আলুর রসের সাথে এক চামচ হলুদ বাটা মেশান। এরপর মুখে লাগিয়ে কুড়ি থেকে 25 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহের কেবলমাত্র দুবার করুন ফলাফল নিজের হাতে পাবেন।
আজবাংলা করোনা আবহে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় পার্লার গিয়ে ত্বকের পরিচর্যার সুযোগ মেলেনি। আনলন পর্বে সব খুলে গেলেও অনেকেই সংক্রমণের ভয়ে এসব জায়গায় গিয়ে ত্বক পরিচর্যা করতে চাইছেন না। কিন্তু তাই বলে কি ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক-অবহেলিত থেকে যাবে? তাছাড়া দুর্গা পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি।
তার আগেই কিভাবে পেয়ে যাবেন উজ্জ্বল কোমল ত্বক? মাত্র একটি প্রাকৃতিক উপাদানের উপর নির্ভর করে ঘরেই সেরে ফেলুন ত্বক পরিচর্যা।কি সেই উপাদান? ফুল। ফুলেরপাপড়ি বা তার নির্যাস থেকে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েলের সাহায্যে বাড়িতে খুব সহজেই ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব।
ফুল দিয়ে ত্বক পরিচর্যার বিষয়ে রূপ বিশেষঞ্জ জানালেন ‘যদি সতেজ ফুল পাওয়া যায় তাহলে তা দিয়ে খুব ভাল ভাবেই ত্বক পরিচর্যা করতে পারি। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ফুলের নির্যাসের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভাল ফল মিলবে।’ তিনি আরও বলেন ‘ বর্তমান ট্রেন্ডে ফুল দিয়ে ত্বক পরিচর্যা ইন। তবে সম্পূর্ণ ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করাতে হলে মনের ভয় কাটিয়ে পুজোর আগে একবার পার্লারে যেতেই হবে।’
গোলাপ:
পছন্দের ফুলের তালিকায় কম-বেশি অনেকেরই প্রিয় গোলাপ। গোলাপ যে নিজেই সুন্দর তাই নয়। এটি ব্যবহার করে আপনিও পেতে পারেন গোলাপের মত কোমল, উজ্জ্বল ত্বক। মূলত শুষ্ক ত্বকের কোমলতা ফেরাতে, জৌলুস ফেরাতে গোলাপ জলের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া বলিরেখা, ত্বকের দাগ, স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে গোলাপ জলের ব্যবহার হয়। গোলাপ জলের ব্যবহার শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
তুলোর প্যাড অথবা বলের মধ্যে কিছুটা গোলাপ জল নিয়ে ভাল করে ত্বকে লাগিয়ে নিন। চোখের নিচে যদি ফোলা ভাব থাকে সেখানেও খুব আলতো করে গোলাপ জল লাগিয়ে নিন। এতে চোখের নিচের ফোলা ভাব কমে যায়। আপনার ত্বক যদি বেশি মাত্রায় শুষ্ক হ্য়, ফেস প্যাকের সঙ্গে গোলাপ মিশিয়ে লাগান। ভাল ফল পাবেন।
ঠিকই পড়ছেন। গাঁদাফুল হয়ে উঠতে পারে আপনার ত্বকের পরম বন্ধু। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান যেকোনো রকমের ছোটখাটো কাটা অথবা পোড়া দাগ সারিয়ে তুলতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ঝুলে যাওয়া ত্বক ঠিক করতে সক্ষম। এছাড়া ত্বকের মরা কোষ দূর করে তাকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
গাঁদা ফুলকে আপনি স্ক্রাব, ফেস-ওয়াস কিংবা ফেস প্যাক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। কিছুটা টক দই, গোলাপ জল এবং লেবুর রসের সঙ্গে গাঁদার পাপড়ি মিশিয়ে ফেস প্যাক হিসাবে ব্যবহার করুন। পাপড়ি ব্যবহার করতে না চাইলে আপনি এই ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েল এর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়া গাঁদা ফুলের পাপড়ি ব্যবহার করে চা বানিয়ে খেলে তা খুব ভাল ডিটক্স করার কাজ করে।
জুঁই:
এই ফুলের মন জুড়ানো মিষ্টি গন্ধের সঙ্গে ত্বকের নানা উপকারেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর নির্যাসে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের রুক্ষ এবং শুষ্ক ভাব দূর করতে সাহায্য করে। এটি যে কোনও ধরনের ত্বকের জন্য কার্যকর। সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা যায়। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সময়ের আগে ত্বকে বার্ধক্য আসতে দেয় না এবং বলি রেখা প্রতিরোধ করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
কিছুটা জুঁই এর পাপড়ি থেঁতো করে নিয়ে তাতে এক চা চামচ দুধ এবং বেসন মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করে নিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। এছাড়া এর পাপড়ি দিয়ে চা বানিয়েও পান করতে পারেন।
ল্যাভেন্ডার:
এই ফুলের বহুমুখী গুণের কথা অনেকেই জানি আমরা। ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে স্পা এবং পার্লারে এই ফুলের ব্যবহার হয়ে থাকে। ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বকের ওপেন পোরস ঠিক করতে সক্ষম। এছাড়া ব্যাক্টেরিয়া নিধনেও এই অয়েল খুব উপকারী। এর পাপড়ি থেকে থাকা উপাদান ত্বকের দাগ, স্ট্রেচ মার্ক এমনকি এগজিমা-সোরিয়াসিসের মত চর্মরোগ সারাতেও সক্ষম।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
হাফ চা চামচ ল্যাভেন্ডার অয়েল, এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। তারপর ১৫ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। যেকোনও ফুলের তৈরি ফেস মাস্ক বা প্যাক মুখে লাগানোর আগে অবশ্যই তা ত্বকের অন্য কোন অংশে অল্প পরিমাণ লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দেখুন। যদি কোন রকম অ্যালার্জি দেখা না দেয় তবেই তা সারা মুখে প্রয়োগ করুন। যদি অ্যালার্জি দেখা দেয় তবে যত শীঘ্রই সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
হঠাৎ জানলেন, পরদিন সকালে খুব বড় একটা ইভেন্টে যোগ দিতে হবে। শুরু হলো তৈরির প্রস্তুতি।
আয়নার সামনে গিয়ে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মুখ ভরে রয়েছে ব্রণে।
অনেকেই দামি ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করতে শুরু করে হয়ত ব্রণ নিয়মন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু হাতে তো সময়ই নেই। এক কাজ করুন, বাড়িতে হাতের কাছেইরয়েছে এমন অনেক উপাদান, যা দিয়ে অতি সহজেই সমাধান করা যায় এই সমস্যার।
জেনে নিন মাত্র একদিনে ব্রণ সারানোর উপায়:
শসা গ্রেট করে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে নিন
ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। অতিরিক্ত তেল টেনে নেয়, ফলে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। তবে শুধু ব্রণ জায়গায় খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন ।
গ্রিন টি গোটা বা ব্রণ বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম গরম পানিতে গ্রিন টি বানিয়ে ঠান্ডা করে ব্রণ বা গোটার ওপর তুলোয় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন।
এমন কেউ কি আছে যারা চুলে শ্যম্পু ব্যবহার করেনা!! শ্যাম্পুর গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু শ্যাম্পুর সাথে চিনি মিশিয়ে ব্যাবহার করলে কি হয় তা কি জানি??
শুনতে খুব অদ্ভূত শোনালেও শ্যাম্পুর সাথে চিনি মিশিয়ে ব্যবহারের উপকারিতা শুনলে আপনি নিজেই চমকে যাবেন। চলুন দেখি কি হয় এতে :–
বিশেষজ্ঞদের মতে চিনি মাথার স্কাল্পের সারকুলেশন ভাল রাখে এবং গভীর থেকে পরিষ্কার হতে সাহায্য করে।
শ্যাম্পুর সাথে চিনি মিশিয়ে ব্যাবহার করলে ক্যাপিলারির সারকুলেশন ভাল থাকে ফলে হেয়ার গ্রওথ ভালো হয়।
চর্ম বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে করে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তেল রিমোভ হয়ে যায়। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল চুল রক্ষার জন্য প্রয়োজন হয়। এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন অতরিক্ত তেল কেটে যেয়ে স্কাল্পের প্রাকৃতিক তেল ব্যালেন্স অনুযায়ী বজায় থাকে।
আমরা সবাই চিনি এবং শ্যাম্পু দুটোর সাথেই পরিচিত। সবার ঘরে ঘরে থাকা এই দুইটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করে আপনি চুল কে করতে পারেন আরও উজ্জল,মস্রিন এবং মজবুত।